
প্রসঙ্গঃ মাহে রমজান। -----------------------------------
Wednesday, 24 May 2017
Comment
প্রসঙ্গঃ মাহে রমজান।
-----------------------------------
আগামী কয়েকদিন পর আমাদের মাঝে শুভাগমন হবে পবিত্র মাহে রমজানের,যে মাসে অবতীর্ণ হয় মহা গ্রন্হ আল- কুরআন।যে মাসে ফরয করা হয়েছে দিনের বেলায় রোজা,সুন্নাতে মুআক্কাদা হিসাবে আদায় করতে হয় রাতের বেলায় বিশ রাকাত নামাজে তারাবীহ। অতএব, আসুন এসব বিষয়ে কিছু জেনে নিই।
রোজার ফজীলতঃ রাসুল (সঃ) বলেছেন: যে ব্যাক্তি ঈমানের সহিত সওয়াবের নিয়্যতে রমজানের রোজা রাখবে তার অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।(বুখারী ও মুসলিম শরীফ)।
ইফতারের দোয়াঃ আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফত্বারতু।
যে সব কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ঃ১,নাক বা কানে ঔষধ ইত্যাদি ঢুকানো।২,ইচ্ছাকৃত মূখ ভরিয়া বমি করা। ৩,কুলি করার সময় গলায় পানি ঢুকা। ৪,কাঠ,লোহা,কাঁচা গম ইত্যাদি গিলে ফেলা যা স্বভাবগত খাওয়া হয়না।৫,আগর বাতি,মশার কয়েল ইত্যাদির ধোঁয়া ইচ্ছাকৃত নাকে ঢুকানো।৬,ভূলে পানাহারের পর রোজা ভঙ্গ হয়েছে মনে করে ইচ্ছে পূর্বক পানাহার করা।৮,ইফতারের সময় হয়েছে মনে করে সূর্যাস্তের আগেই ইফতার করা।
এসব কারণে রোজা ভঙ্গ হলে শুধু ক্বাজা ওয়াজিব, কাফফারা নয়।
তারাবীহর নামাজঃ এমাসে এশার ফরজ এবং সুন্নাতের পর জামাতের সহিত বিশ রাকাত তারাবীহ পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়াহ।হাদীস শরীফে আছে: যে ব্যাক্তি রমজানের রাত্রে ঈমানের সহিত সওয়াবের নিয়্যতে তারাবীহর নামাজ আদায় করবে তার অতীতের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
রোজার ক্বাজাঃওজর বশতঃ রোজা ভাঙ্গলে এক রোজার পরিবর্তে একটি রোজা ক্বাজা দিতে হয়।
0 Response to "প্রসঙ্গঃ মাহে রমজান। -----------------------------------"
Post a Comment