 
(ASCC TV NEWS) এর পক্ষ থেকে পোস্ট বইঃ-“অতুলনীয় মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” .. ভূমিকা..
বইঃ-“অতুলনীয় মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”
.................  ..  ভূমিকা.....................  
আল্লাহ       পাক      রাব্বুল      আলামীন        ১৮      হাজার মাখলুকাত         দিয়ে         এই         অপরুপ         সৃষ্টিজগত  সাজিয়েছেন।  একেকটা মাখলুকের একেক রকম সৌন্দর্য,   একেক   রকম  বৈশিষ্ট্য।   আবার    একটা মাখলুকের         মধ্যেই        হাজারো        বৈচিত্র।         এত বৈচিত্রময়          সৃষ্টিজগতের          মধ্যে          আল্লাহপাক  সবচেয়ে সুন্দর করে যে মাখলুককে সৃষ্টি করলেন তা   হচ্ছে   মানব   জাতি।   আর    এই    মানবজাতির মধ্যে   সবচেয়ে  সুন্দর   করে,  সবচেয়ে     সম্মানিত করে,   অনন্য  বৈশিষ্ট্য  দিয়ে   যাকে   সৃষ্টি   করলেন তিনি         হচ্ছেন         আল্লাহর        হাবীব,          সরওয়ারে কায়েনাত,        মুফাখখারে        মওজুদাদ,        সরকারে দু’আলম,        সাইয়্যেদুল        মুরসালীন,        শাফিউল  মুজনিবীন,      খাতামুন      নাবিয়্যিন,      রাহমাতাল্লিল  আলামীন,  আকায়ে  নামদার,  তাজেদারে  মাদিনা  আহাম্মদ     মুস্তাফা     মুহাম্মদ     মুজতাবা     সাল্লাল্লাহু  আলাইহি      ওয়া       সাল্লাম।       আল্লাহ      পাক      তাঁর  হাবীবকে এমন সব  বৈশিষ্ট্য দিয়ে তৈরী করেছেন যা      তাঁকে      সমস্ত    মাখলুকাতের    মধ্যে    সর্বশেষ্ঠ আসনে     অধিষ্ঠিত     করেছে।     তিনি       এমন     এক মহামানব   যার     সামনে   সূর্যের   আলো   ম্লান    হয়ে যায়, আকাশের চাঁদ তার সৌন্দর্য্য হারায়,  মেশক আম্বর  তার  সৌরভ   হারায়,   আকাশের   বিশালতা তার গৌরব হারায়। 
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর হাবীবকে অতুলনীয়, বেনযীর, বেমেসাল করে সৃষ্টি করেছেন। স্রষ্টা হিসেবে আল্লাহ যেমন এক ও অদ্বিতীয়। সৃষ্টি জগতের মধ্যে তেমনি আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও এক ও অদ্বিতীয়। স্রষ্টা হিসেবে আল্লাহর যেমন কোন সমকক্ষ বা অংশিদার নেই তেমনি সৃষ্টি জগতের মধ্যেও আল্লাহর হাবীবের কোন সমকক্ষ বা অংশিদার নেই। অথচ আমাদের সমাজে কিছু সংখ্যক লোক আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমাদের মতোই দোষে গুণে সাধারণ মাটির মানুষ বলে প্রচার করে। তারা বলে তিনি শুধু আল্লাহর একজন নবী বৈ আর কিছুই নন। অথচ কোরআন এবং হাদীসে আমরা দেখতে পাই যে তিনি অন্যান্য নবীদের মতো শুধু একজন নবীই নন, তিনি আল্লাহর প্রিয় হাবীব। আল্লাহ পাক স্বয়ং তাঁর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সবসময় খুশি করার চেষ্টা করেছেন এবং বান্দাদেরকে কঠোরভাবে হুকুম করেছেন তাঁর প্রিয় হাবিবকে ভালবাসতে এবং তাঁর প্রতি যথাযথ আদব রক্ষা করতে। নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি সামান্যতম বেআদবীর কারণে ঈমান, আমল সব বিনষ্ট হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, পরকালে আমাদের নাযাতের জন্য আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখাপেক্ষী করেছেন। নবীজির শাফায়াত ছাড়া কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না।
প্রকৃতপক্ষে তারা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহান শান ও মান নিরুপণ করতে ব্যর্থ হয়ে এই ধরণের বেয়াদবীপূর্ণ কথা বলে। অপর দিকে নবী প্রেমিকগণ নবী পাকের মহান শান ও মান পুরোপুরি বুঝতে অক্ষম হয়ে বলেছেন “নবীজির হাকীকত একমাত্র আল্লাহই জানেন”। এখানে উভয় মতের মধ্যে পার্থক্য হওয়ার কারণ হচ্ছে শুধুমাত্র নবীপ্রেম। একদল নবীজির প্রকৃত হাকীকত বুঝতে না পারাকে নিজের অক্ষমতা বলছেন, আর অন্য দল যাদের অন্তরে নবীপ্রেম নেই তারা শুধু বাহ্যিক দিক বিবেচনা করে বলেছে নবী আমাদের মতোই দোষেগুণে সাধারণ মানুষ। অথচ মনিষীগণ বলেছেন- মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যথাযথ মর্যাদা নিরুপণ করতে সৃষ্টিজগত অক্ষম। দূরের ও নিকটের কেউই তাঁর প্রকৃত পরিচিতি লাভ করতে পারেনা। তিনি এক সূর্যতুল্য মহান সত্তা, যা দূর থেকে ক্ষুদ্রাকৃতির মানুষের মতোই মনে হয়। কিন্তু সোজাসুজি কেউ যদি তাঁর প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ করে তাহলে দৃষ্টি অবসন্ন হয়ে যাবে। মোটকথা, তিনি হচ্ছেন এমন এক উজ্জল রবি, যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে সৃষ্টিকুল অক্ষম। কোন এক কবি বলেছেন-
খোদা কি আজমত কিয়া  হ্যায়  মোহাম্মদ মোস্তফা জানে
মাকামে মোস্তফা   কিয়া  হ্যায়  মোহাম্মদ কা খোদা জানে
অর্থাৎ- আল্লাহ পাকের বড়ত্ব সম্পর্কে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই ভালো জানেন। আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মর্যাদা কত উর্দ্ধে তা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খোদাই ভালো জানেন।
নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শারীরিক গঠনে এবং জীবন যাপনে বাহ্যিক ভাবে আমাদের মতো হলেও প্রকৃতপক্ষে কোন দিক থেকেই নবীজি আমাদের মতো নন। এই গ্রন্থটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে।
কুরআনের বানী “ক্বুল ইন্নামা আনা বাশারুম মিসলুকুম” অর্থাৎ “বলুন, আমিতো তোমাদেরই মতো একজন মানুষ”। এই আয়াতকে তারা দৃষ্টান্ত হিসেবে পেশ করে। কিন্তু তারা এই আয়াতটিকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে না। শুধু শাব্দিক অর্থ দিয়েই বিচার করে। আল্লাহ পাক তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলছেন, হে হাবীব আপনি বিনয় প্রকাশের জন্য বলুন যে আমি তো তোমাদেরই মতো মানুষ। আপনার প্রশংসা তো করবো আমি আল্লাহ। আমি যখন আপনার সম্পর্কে বলবো, তখন তো আমি আপনাকে বলবো ‘সিরাজাম মুনির’। আমি আপনাকে বলবো ‘শাহিদাও ওয়া মুবাশশিরাও ওয়া নাযিরা’। আমি আপনাকে বলবো ‘বিল মু’মিনীনা রাউফুর রাহীম’। আমি আপনাকে বলবো ‘ওয়ারাফা’না লাকা যিকরাক’। আমি আপনার সম্পর্কে বলবো ‘আন নাবিয়্যু আউলা বিল মু’মিনীনা মিন আনফুসিহিম’। এইভাবে গোটা কোরআন জুড়ে আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় হাবীবের প্রশংসাই করেছেন। সেই প্রশংসামূলক আয়াতগুলো না দেখে শুধু ঐ একটা আয়াত দিয়ে বিচার করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বরং অবিচার করা হবে।
“আমিতো তোমাদেরই মতো একজন মানুষ” এই কথা বলার আরেকটা কারণ হতে পারে যে, মানুষেরা নবীজির অতুলনীয় মর্যাদা, শান-মান দেখে যাতে তাঁকে খোদা বা খোদার পুত্র মনে না করে এবং যাতে আল্লাহর সমকক্ষ বা অংশিদার স্বাব্যস্থ না করে। কারণ মানুষ ইতোপূর্বে ঈসা আলাইহিস সালাম এবং ওযাইর আলাইহিস সালামকে আল্লাহর পুত্র বলেছে। তাই হুশিয়ারীর জন্য বলছেন, “হে হাবীব বলুন, আমিতো তোমাদেরই মতো একজন মানুষ”।
নবীজির    সৃষ্টি    থেকে    শুরু    করে    পরকাল    পর্যন্ত  সময়কালকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১। দুনিয়াতে আগমনের পূর্বে নবীজির মর্যাদা।
২। দুনিয়াতে নবীজির মর্যাদা।
৩। পরকালে নবীজির মর্যাদা।
এর      মধ্যে      দুনিয়াতে      আগমনের      পূর্বে      এবং  পরকালে   নবীজির     সাথে     আমাদের   কোন   মিল নেই। কারণ দুনিয়ায় আসার পূর্বে আমাদের কোন অস্তিত্বই  ছিলো   না।  আর   পরকালে    কেয়ামতের  ময়দানে  আমরা শুধু    ‘ইয়া  নাফসী’ ‘ইয়া নাফসী’  করতে থাকবো। অথচ এই দুইটি জগতে নবীজির মর্যাদা   কত   উপরে   এই  গ্রন্থে   তা  বিস্তারিতভাবে আলোকপাত    করা    হয়েছে।    মাঝখানে    দুনিয়ার  জগতে  নবীজির  জীবন  যাপনের  সাথে  আমাদের  বাহ্যিক মিল থাকলেও প্রকৃতপক্ষে নবীজির মহান শানের  সাথে  আমাদের  কোন  তুলনাই  চলে  না।  তাইতো  আল্লামা   শরফুদ্দিন   বুসিরী  রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কাসিদায়ে বুরদা শরীফে বলছেন, 
مُحَمَّدٌ بَشَرٌ لَا كَالْبَشَرِ- يَاقُوْتٌ حَجَرٌ لَا كَالْحَجَرِ
অর্থাৎ   “মোহাম্মদ   মোস্তফা     সাল্লাল্লাহু    আলাইহি ওয়া সাল্লাম    মানুষ হয়েও কোন মানুষের   মতোই নন, যেমন ‘ইয়াকুত’ পাথর হয়েও কোন পাথরের মতো নয়”। 
....... ....... উৎসর্গ.........
গ্রন্থখানি উৎসর্গ করলাম তিনজন মহান ব্যক্তিকে যাদের জীবন ও কর্ম দ্বারা আমি সব সময় অনুপ্রাণিত হই।
আমার পীর ও মুর্শিদ আওলাদে রাসুল, আওলাদে গাউসে পাক, হুজুর শায়খে আযম সৈয়দ ইজহার আশরাফ আশরাফী আল জিলানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি
আমার প্রপিতামহ মুহিউস সুন্নাহ, শায়খুল ইসলাম, পীরে কামেল অধ্যক্ষ আল্লামা আবদুল লতিফ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি
ইমামে আহলে  সুন্নাত, ওস্তাজুল উলামা,  শামসুল  মাশায়েখ,      শায়খুল      ইসলাম      অধ্যক্ষ      আল্লামা  হাফেজ আবদুল জলিল রাহমাতুল্লাহি আলাইহি
*************************************
লেখকের কথা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
বর্তমানে ফেতনার যুগে চারিদিকে নানা রকম নতুন নতুন কথা শোনা যায়। ওয়াজ-মাহফিলে, বই-পুস্তকে, পত্র-প্রত্রিকায়, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বিভিন্ন মত ও পথের প্রচারকেরা নানা রকম বিভ্রান্তিমূলক কথা-বার্তা প্রচার করছে। যা দেখে আমাদের তরুন সমাজ বিভ্রান্তিতে পড়ে গেছে। ঐ সমস্ত প্রচারকেরা বিশেষ করে আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যাপারে এমন কিছু কথা প্রচার করে যা প্রিয় নবীর মহান শান ও মানের খেলাফ। তারা নবীজিকে আমাদের মতো দোষে-গুণে সাধারণ মানুষ বলে প্রচার করে, নবীজির শাফায়াতকে অস্বীকার করে এবং নবীজির যিয়ারতকে নিরুৎসাহিত করে। তাদের মুখে বার বার উচ্চারিত হয় একটি আয়াত “কুল ইন্নামা আনা বাশারুম মিসলুকুম”। আর তারা এই আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে মানুষকে শুনায়। অথচ পবিত্র কোরআনে প্রিয় নবীর মহান শান ও মান সম্পর্কে শত শত আয়াত আছে যা তারা কখনোই জনগণের সামনে ব্যাখ্যা করে না। এই সব ব্যাপার দেখে ও শুনে মনটা বেশ অস্থির হয়ে উঠলো। ভেবে পাচ্ছিলাম না কী আমার করণীয়। অবশেষে কলম ধরার সিদ্ধান্ত নিলাম। নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা এবং দীনতা স্বত্ত্বেও শুরু করলাম গ্রন্থ রচনার মতো বিশাল একটি কাজ। লিখা যতই এগুতে থাকলো ততই মনে হলো আমি যেন সাগরের অতল গহীনে হারিয়ে যাচ্ছি। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহান শান ও মানের যেদিকে তাকাই, দেখি সেই বিষয়ে যদি বিস্তারিত লিখতে যাই তাহলে প্রত্যেকটা বিষয়ে একেকটা গ্রন্থ হয়ে যাবে। অবশেষে লিখাকে সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিলাম, না হয় গ্রন্থের কলেবর অনেক বড় হয়ে যাবে যা ছাপানো অনেক ব্যয়বহুল হবে।
এই গ্রন্থে আমি মূলতঃ একটা বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি সেটা হচ্ছে, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শারীরিক গঠনে, চলাফেরায়, কথাবার্তায়, জীবন-যাপনে বাহ্যিকভাবে আমাদের মতো হলেও, প্রকৃতপক্ষে তিনি আমাদের কারো মতই নন। তিনি আল্লাহ পাকের সৃষ্ট এমন এক স্বত্ত্বা যার তুলনা শুধু মানবজাতিতে কেন, আল্লাহ পাকের পুরো সৃষ্টি জগতের মধ্যেই নেই। তিনি অতুলনীয়, বে-নযীর, বে-মেসাল। তাই আমি এই গ্রন্থখানির নাম দিয়েছি “অতুলনীয় মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”।
গ্রন্থখানি যথাসম্ভব নির্ভুল করার চেষ্টা করেছি। তারপরেও কিছু ভুলভ্রান্তি থেকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। মুদ্রণজনিত ত্রুটি সহ সব ধরণের ভুল ত্রুটির দায়ভার আমি মাথা পেতে নিলাম। কেউ কোন রকম ভুল ত্রুটির ব্যাপারে আমাকে অবহিত করলে তা পরবর্তী সংস্করণে সংশোধন করা হবে ইনশা আল্লাহ।
উক্ত গ্রন্থখানি রচনায় আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন আমার পরম শ্রদ্ধেয় পিতা আলহাজ¦ ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম সাহেব। গ্রন্থখানি প্রকাশের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন আমার ছোট ভাই আলহাজ¦ মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম এবং আমার ভগ্নিপতি মুহাম্মদ মতিউর রহমান। আমি তাঁদের ইহকালীন ও পরকালীন মঙ্গল কামনা করছি।
0 Response to " (ASCC TV NEWS) এর পক্ষ থেকে পোস্ট বইঃ-“অতুলনীয় মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” .. ভূমিকা.. "
Post a Comment