-->

Nativ

Banner 160*300

আহলে বাইত (عليه السلام)-এঁর ভালবাসা ফরয

আহলে বাইত (عليه السلام)-এঁর ভালবাসা ফরয

আহলে বাইত (عليه السلام)-এঁর ভালবাসা ফরয-১ম পর্ব [1-3]

★১. আহলে সুন্নাতের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা জালাল উদ্দিন সূয়ুতী (রহঃ) বর্ণনা করেন যে,পবিত্র কোরআন ও নবী ﷺ-এঁর হাদীস হতে এটা প্রমাণিত হয় যে,আহলে বাইত আলী,ফাতেমা,হাসান ও হোসাইন (عليه السلام)- এঁর মুয়াদ্দাত (আনুগত্যপূর্ণ ভালোবাসা) দ্বীনের ফরায়েজে গণ্য; সুতরাং ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এটার সমর্থনে এরূপ সনদ দিয়েছেন যে,“ইয়া আহলে বাইত-এ রাসূল,আল্লাহ তাঁর নাজিল করা পবিত্র কোরআনে আপনাদের মুয়াদ্দাতকে ফরজ করেছেন, যারা নামাজে আঁপনাদের উপর দরুদ পড়বে না,তাদের নামাজই কবুল হবে না”।
[ইবনে হাজার মাক্কীর,সাওয়ায়েকুল মুহরেকাঃ পৃঃ ১০৩]



পবিত্র কোরআনে রাসূল ﷺ-এঁর আহলে বাইতের ভালবাসা ও অনুসরণ ফরজ করা হয়েছে।
⏬
“বলুন,যে পারিশ্রমিকেই আঁমি তোমাদের কাছ চেয়ে থাকি না কেন,তা তো তোমাদেরই জন্য।”
[সূরা সাবা,আয়াত নং ৪৭]
⏬
“বলুন,আঁমি আঁমার রিসালাতের দায়িত্ব পালনের বিনিময়ে তোমাদের কাছে কিছুই চাই না,কেবল আঁমার আহলে বাইতের প্রতি ভালবাসা ব্যতিত।”
[সূরা শুরা,আয়াত নং ২৩]
⏬
হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে।হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেছেন যে,যখন এই আয়াত নাযিল হলো তখন সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন,“ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাঁরা আঁপনার নিকট আত্মীয়? যাদের মুয়াদ্দাত (আনুগত্যপূর্ণ ভালোবাসা) পবিত্র কোরআনে উম্মতের উপর ফরজ করা হয়েছে।উত্তরে নবী (ﷺ) বললেন-আলী,ফাতেমা,হাসান ও হোসাইন এঁর মুয়াদ্দাত (আনুগত্য)।”

         ******দলিল******
*১. সুরা শুরা,আয়াত নং ২৩,আশরাফ আলী থানভী,পৃঃ ৬৯২
*২. তাফসীরে মাজহারী,১১ম খন্ড,পৃঃ ৬৩ (ই,ফাঃ)
*৩. তাফসীরে নুরুল কোরআন (মাওলানা আমিনুল ইসলাম),২৫ম খন্ড,পৃঃ ৬৭
*৪. মাদারেজুন নাবুয়াত,৩য় খন্ড,পৃঃ ১১৭
শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী
*৫. তাফসীরে দূররে মানসুর,৬ষ্ঠ খন্ড,পৃঃ ৭ (মিশর)
*৬. তাফসীরে যামাখশারীঃ ২য় খন্ড,পৃঃ ৩৯৯ (মিশর)
*৭. তাফসীরে তাবারী,২৫ম খন্ড,পৃঃ ২৫ (মিশর)
*৮. তাফসীরে কাশশাফ,৩য় খন্ড,পৃঃ ৪০২ ৪র্থ খন্ড,পৃঃ ২২০ (মিশর)
*৯. তাফসীরে কাবীর,২৭ম খন্ড,পৃঃ ১৬৬ (মিশর)
*১০. তাফসীরে বায়যাভী,৪র্থ খন্ড,পৃঃ ১২৩ (মিশর)
*১১. তাফসীরে ইবনে কাসির,৪র্থ খন্ড, পৃঃ ১১২ (মিশর)
*১২. তাফসীরে কুরতুবি,১৬ম খন্ড,পৃঃ ২২ (মিশর)
*১৩. তাফসীরে নাসাফী,৪র্থ খন্ড,পৃঃ ১০৫ (মিশর)
*১৪. তাফসীরে আবু সাউদ,১ম খন্ড,পৃঃ ৬৬৫
*১৫. তাফসীরে জামে উল বায়ান, (তাবারী),২৫ম খন্ড,পৃঃ ৩৩
*১৬. তাফসীরে আল আকাম,২য় খন্ড, পৃঃ ১২১
*১৭. তাফসীরে বাহরুল মুহিয়াত (ইবনে হাইয়্যান),৯ম খন্ড,পৃঃ ৪৭৬
*১৮. তাফসীরে বিহার আল মাদিদ (ইবনে আজি),৫ম খন্ড,পৃঃ ৪৩১
*১৯. তাফসীরে আবু সাউদ,৬ষ্ঠ খন্ড,পৃঃ ৮০
*২০. তাফসীরে কাবীর,১৩ম খন্ড,পৃঃ ৪৩২
*২১. তাফসীরে বাইদাবী,৫ম খন্ড,পৃঃ ১৫৩
*২২. তাফসীরে আল নাসাফীঃ ৩য় খন্ড, পৃঃ ২৮০
*২৩. তাফসীরে আল নিশাবুরি,৬ষ্ঠ খন্ড, পৃঃ ৪৬৭
*২৪. ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত,পৃঃ ১৭৩, (উর্দ্দু)
*২৫. আরজাহুল মাতালেব,পৃঃ ১০২,৫৮৭ (উর্দ্দু)]

Advertisements
REPORT THIS AD

★২. হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে

أخرج سعید بن منصور في سننه عن سعید بن جبیر رضی الله عنه في قوله تعالى: (قل لآ أسئلكم عليه أجرا إلا ألمودة في القربي) قال: قربی رسول الله صلى الله عليه وسلم.

হযরত সাঈদ ইবনে মনসুর তাঁর সুনান এ বর্ণনা করেছেন হযরত সাঈদ ইবনে জুবাইর (رضي الله عنه) হতে,তিনি আল্লাহ তা’আলার বাণী

قليلة لآأسئلکم علیه أجراها إلا المودة فی القربی 

অর্থাৎ, হে রাসূল (ﷺ) আঁপনি বলে দিন, (নবুয়তি দায়িত্ব পালনের) জন্য আঁমি তােমাদের থেকে কোন বিনিময় চাইনা, শুধু আঁমার নিকটাত্মীয়দের ভালবাসা ব্যতিত।(সূরা আশ শূরা ২৩) সম্পর্কে মন্তব্য করেন।তিনি (হযরত সাঈদ ইবনে জুবাইর (رضي الله عنه) বলেন, القربی বা নৈকট্য প্রাপ্তরা হচ্ছেন,রাসূল (ﷺ) এর নিকট আত্মীয়।
         ******দলিল******
*(ক.) জামেউল বয়ান-তাবারীঃ ১১:১৪৪।
*(খ.) যাখায়েরুল উকবা,মুহীব্বুত তাবারীঃ পৃষ্ঠা: ৩
*(গ.) অনুরূপ দাবি করেছেন- ইবনুসসির।
*(ঘ.) আদদুররুল মনছুর,লিখক- জালালুদ্দীন সুয়ুতী, ৫: ৭০১।
*(ঙ.) বুখারীতেও অনুরূপ রয়েছে।

★৩. হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে

أخرج ابن المنذر، وابن ابی حاتم وابن مردويه في تفاسيرهم، والطبراني في المعجم الكبير عن ابن عباس رضي الله عنهما، لما نزلت هذه الآية: (قل لآ أسئلكم عليه أجرا إلا المودة فی القربی) قالوا: يا رسول الله من قرابتك هؤلاء الذين وجبت مودتهم؟ قال صلى الله عليه وسلم: علی، وفاطمة، وولداهما؛

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, যখন
قل لآ أسئلکم علیه أجراإلا المودةفی القربی;
হে রাসূল (ﷺ) আপনি বলে দিন,(নবুয়তি দায়িত্ব পালনের) জন্য আঁমি তােমাদের থেকে কোন বিনিময় চাইনা,শুধু আঁমার নিকটাত্মীয়দের ভালবাসা ব্যতিত।(সূরা আশ শূরা ২৩) আয়াতটি নাযিল হয় তখন সাহাবায়ে কেরাম (رضي الله عنه) জিজ্ঞাসা করেন,হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আঁপনার ঐসব নিকটত্মীয় কারা,যাদেরকে ভালবাসা আমাদের ওপর আবশ্যক? তিনি [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] উত্তরে ইরশাদ করলেন, তারা হল) আলী,ফাতিমা এবং তাদের দু’সন্তান।
          ******দলিল******
*(ক.) আল জামে’ লি আহকামিল কুরআন (তাফসীরে কুরতবী)-ইমাম কুরতুবী- ৮:২১।
*(খ.) তাফসীরে কাবীর-ফকরুদ্দীন রাজী ২৭:১৬৬।
*(গ.) আল মু’জামুল কাবীর-ইমাম তাবরানী-৩: ৪৭ (২৬৪১)/১১: ৩৫১ (১২২৫৯)।
*(ঘ.) মাজমাউজ জাওয়ায়েদ আল হায়ছামীঃ ৯:১৬৮/৭:১০৩।
*(ঙ.) আদ দুররুল মনছুর-লিখক (জালালুদ্দীন সুয়ূতী) – ৫:৭০১।
*(চ.) ইবনুল মুনযির,
*(ছ.) ইবনে আবি হাতিম
*(জ.) ইবনে মারদাওইয়্যাহ প্রমূখ তাফসীর কারকগণ।

★৪. ইমাম আহমদ,ইমাম তিরমিজী (তিনি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন) ইমাম নাসায়ী এবং হাকেম প্রমূখ হযরত মুত্তালিব ইবনে রাবীয়াহ্ (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন,

أخرج أحمد، والترمذي وصححه، والنسائی، والحاکم عن المطلب بن ربيعة رضي الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (والله لا يدخل قلب امریء مسلم إيمان، حتى يحبكم للهولقرابتی)

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেছেন, আল্লাহর শপথ! ততক্ষণ পর্যন্ত কোন মুসলিমের ক্বলবে ঈমান প্রবেশ করবেনা,যতক্ষন সে তােমাদেরকে আল্লাহ ও আমার নিকটাত্মীয়দের কারণে (ওয়াস্তে) ভালবাসবেনা।
           ******দলিল******
*(ক.) মুসনাদ এ ইমাম আহমদঃ ১:৩৪২ (১৭৮০)/৫:১৭২ (১৭০৬১)।
*(খ.) তিরমীজিঃ ৫: ৬১০ (৩৭৫৮)।
*(গ.) নাসায়ীঃ ৫:৫১ (৮১৭৫)।
*(ঘ.) আল মুসতাদরিকঃ ৪:৮৫:৬৯৬০।
*(ঙ.) তিবরিযিঃ মিশকাত পৃঃ ৫৭০।

আব্দুল মুত্তালিব ইবনে রাবী’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন,যে সত্ত্বার হাতে আঁমার প্রাণ,সে সত্ত্বার কসম! কোন ব্যক্তির অন্তরে ঈমান প্রবেশ করবে না যতক্ষণ না তাঁরা আল্লাহ্ ও রাসুলের খাতিরে তোমাদের (আহলে বায়েত) ভালবাসবে।
[তিরমিজি শরীফ,ষষ্ঠ খণ্ড,হাদিস নং-৩৭৫৮,ইসঃ ফাঃ]

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-কোন ব্যক্তি অন্ত্মরে ইমান প্রবেশ করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত্ম না তোমাদেরকে (নবী বংশকে) আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য ভালবাসবে।
[মিশকাত শরীফ ৫৭০ পৃষ্ঠা]

✌আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন-‘আল্লাহর শপথ! কোন মুসলমানের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করবেনা যতক্ষণনা সে আল্লাহকে এবং তার সাথে আঁমার নিকটাত্মীয়দের (আহলে বাইত) কে ভালবাসবে।’
[মুসনদে আহমদ-১/৩৪২,সুনানে তিরমিজিঃ ৫/৬১০]

✊হুজুর ﷺ ইরশাদ করেছেন কারো অন্তরে ঈমান প্রবেশ করবে না যতক্ষণ সে আল্লাহর রাসূলের খাতিরে আহলে বাইতের সাথে ভালোবাসা না রাখবে। একদা হযরত আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব রাসূলুল্লাহ ﷺ-এঁর খেদমতে রাগান্বিত অবস্থায় হাজির হলেন। বর্ণনাকারী বলেন আমি তখন রাসূলের নিকট উপস্থিত ছিলাম।রাসূল ﷺ তাকে জিজ্ঞেস করলেন তোমার ক্ষোভের কারণ কী? তিনি বললেন,হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের ও কুরাইশদের মধ্যে কী হলো? তারা পরস্পরে মিলিত হলে হাশিখুশি নিয়ে মিলিত হয়,যখন আমাদের সাথে মিলিত হয় তখন সেভাবে মিলিত হয় না। রাসূল এ কথা শুনে রাগন্বিত হলেন। অতঃপর বললেন যার হাতে আমার জীবন তার শপথ! কোনো ব্যক্তির অন্তরে ঈমান প্রবেশ করতে পারে না যতক্ষণ সে তোমাদেরকে আল্লাহ ও রাসূলের খাতিরে ভালো না বাসে।[তিরমিজি-২/৬৯৬]

★৫. জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণিত।

‏حدثنا ‏ ‏نصر بن عبد الرحمن الكوفي ‏ ‏حدثنا ‏ ‏زيد بن الحسن هو الأنماطي ‏ ‏عن ‏ ‏جعفر بن محمد ‏ ‏عن ‏ ‏أبيه ‏ ‏عن ‏ ‏جابر بن عبد الله ‏ ‏قال ‏رأيت رسول الله ‏ ‏صلى الله عليه وسلم ‏ ‏في حجته يوم ‏ ‏عرفة ‏ ‏وهو على ناقته القصواء يخطب فسمعته يقول يا أيها الناس إني قد ‏ ‏تركت فيكم ما إن أخذتم به لن تضلوا كتاب الله وعترتي أهل بيتي……..
‏قال ‏ ‏وهذا ‏ ‏حديث حسن

মহানবী ﷺ-এঁর শেষ বাণী যা তিঁনি বিদায় হজ্জে একলক্ষ বিশ হাজার সাহাবীদের মাঝে এরশাদ করেছিলেন: “হে মানব সম্প্রদায়! আঁমি তোমাদের মধ্যে দু‘টি সমপরিমাণ ভারি বস্তু রেখে যাচ্ছি যদি এ দু‘টিকে আঁকড়ে ধরে থাক (অনুসরণ কর) তাহলে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না।আর যদি একটিকে ছাড় তাহলে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।তার প্রথমটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব (কোরআন) দ্বিতীয়টি হচ্ছে আঁমার ইতরাত,আহলে বাইত [(আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইন (আঃ)]; এ দু‘টি কখনই পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষণ না হাউজে কাউসারে আঁমার সাথে মিলিত হবে। তাঁদের সাথে তোমরা কিরূপ আচরণ কর এটা আঁমি দেখবো”।
            *****দলিল******
*১.সহীহ্ তিরমীজি,৬ষ্ঠ খন্ড,হাঃ ৩৭৮৬, ৩৭৮৮ (ই,ফাঃ) / অধ্যায়ঃ ৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা। পরিচ্ছদঃ ৩২. আহলে বাইআত-এর মর্যাদা,হাদিস নম্বরঃ ৩৭৮৬।

*২.মিশকাত শরীফ- ৫৬৫ পৃঃ
*৩.সুনানে নাসায়ী।
*৪.ইমাম মুত্তাকী হিন্দীঃ কাঞ্জুল উম্মাল, ১ম খন্ড ৪৪ পৃষ্ঠা।
*৫.সহীহ্ মুসলিম,৫ম খন্ড,হাঃ ৬০০৭, ৬০১০, (ই;ফাঃ)/সহীহ্ মুসলিম,৫ম খন্ড; পৃঃ-৩৭৪-৩৭৫,হাঃ-৬১১৯ , ৬১২২ , ( আহলে হাদীস লাইব্রেরী) ;
*৬.মেশকাত,১১ম খন্ড,হাঃ ৫৮৯২-৫৮৯৩, (এমদাদীয়া)

*৭. আল্লামা সানাউল্লাহ পানিপথি, তাফসীরে মাজহারী,২য় খন্ড,পৃঃ ১৮১, ৩৯৩,(ইফাঃ)
*৮. তাফসীরে হাক্কানী (মাওলানা শামসুল হক ফরীদপূরি),পৃঃ ১২-১৩ (হামিদীয়া)
*৯. তাফসীরে নূরুল কোরআন,৪র্থ খন্ড, পৃঃ ৩৩ (মাওলানা আমিনুল ইসলাম)
*১০. মাদারেজুন নাবুয়াত,৩য় খন্ড,পৃঃ ১১৫/২য় খন্ড, পৃঃ ৫৮৫ (উর্দ্দু)[শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী]

*১১. তাফসীরে মারেফুল কোরআন,১ম খন্ড,পৃঃ ৩৭১, মুফতি মুহাম্মদ সফী (ই,ফাঃ)
*১২. কুরআনুল করিম (মাওলানা মহিউদ্দিন খান),পৃঃ ৬৫
*১৩. সিরাতুন নবী,২য় খন্ড,পৃঃ ৬০৫, আল্লামা শবলি নুমানী (তাজ কোং)
*১৪.আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া,৫ম খন্ড, পৃঃ ৩৪৫,৭ম খন্ড,পৃঃ ৬১৬ (ই,ফাঃ)
*১৫. কাতেবীন ওহী,পৃঃ ১৬৬ (ই,ফাঃ)
*১৬. আশারা মোবাশশারা (ফাযেলে দওবন্দ),পৃঃ ১৬৩ (এমদাদীয়া)
*১৭.বোখারী শরীফ,৫ম খন্ড,পৃঃ ২৮০, ২৮২ (হামীদিয়া)

*১৮. রিয়াদুস সালেহীন,১ম খন্ড,পৃঃ ২৫৫ (ইসলামিক সেন্টার)/রিয়াদুস সালিহীনঃ ১ম খন্ড,পৃঃ ৩০৯ (হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী,আহলে হাদীস); সংক্ষিপ্ত তাফসীর আল মাদানী,৮ম খন্ড,পৃঃ ১৫ (হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী,বংশাল- আহলে হাদীস)

*১৯. যে ফুলের খুশবুতে সারা জাহান মাতোয়ারা (মাওলানা আমিনুল ইসলাম), পৃ: ২৩০
*২০. আরজাহুল মাতালেব,পৃঃ ৫৬৮ (উদ্দু)
*২১. ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত,পৃঃ ৬৭-৭৬, (উর্দ্দু)
*২২. সিলসিলাত আল আহাদিস আস সাহীহাহ্ (নাসিরউদ্দিন আলবানীঃ বলেছে সহিহ, কুয়েত আদদ্বার আস সালাফীয়া, ৪র্থ খন্ড,পৃঃ ৩৫৫-৩৫৮,হাঃ-১৭৬১, (আরবী)।

*২৩. মাসিক মদিনা (জুন,২০০৫),পৃঃ ১৫
*২৪. সুফি দশর্ন-পৃঃ ৩৩,৩৮( ইঃফাঃ)
*২৫. দিওয়ানে মইনুদ্দিন-পৃঃ ৪৯১ (জেহাদুল ইসলাম)
*২৬. বিশ্ব নবী বিশ্ব ধর্ম (ফজলুর রহমান) পৃঃ ১৮৮ (মল্লিক ব্রাদার্স কলকাতা)
*২৭. বিশ্ব নবী,পৃঃ ৫৩৩ (অধ্যাপক মাওলানা সিরাজ উদ্দিন)

*২৮. শান্তির নবী,পৃঃ-১৫৯-১৬২, ( ফজলুর রহমান খান,দায়েমী কমপ্লেক্স)
*২৯. মাসিক সুরেশ্বর,(মার্চ-২০০১),পৃ-১০
*৩০. শাহাদাতে আহলে বাইত,পৃঃ-৮৪, (খানকা আবুল উলাইয়াহ)
*৩১. সাহাবা চরিত,পৃঃ ২৮-২৯ (মাওলানা মোঃ যাকারিয়া)
*৩২. মহানবীর ভাষণ,পৃঃ ২১১ (আব্দুল কাইয়ুম নাদভী (ই ,ফাঃ)
*৩৩. আল মুরাজায়াত,পৃঃ ২৮,২২৩ (আল্লামা শারাফুদ্দীন মুসাভী)

*৩৪. ওহাবী পরিচয়,পৃঃ ১৩৫-১৩৭, (রেদওয়ানিয়া লাইঃ ১৯৯০ ইং)
*৩৫. ইসলামিয়াত,পৃঃ ৩৩ (ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী (ইঃফাঃ)
*৩৬. রহমতে দো আলম মোহাম্মদ,পৃঃ ১১২  (ইস্টার্ন লাইব্রেরী)
*৩৭. যুলফিকারই মুর্তুজা,পৃঃ ১৫৪ (আটরশি)
*৩৮. মদীনার আলো,পৃঃ ৫৮ (ডাঃ সুফী সাগর সাম্স,আজিমপুর দায়রা শরিফ)
*৩৯. কাসাসুল আম্বিয়া,পৃঃ ৫২১-৫২২ (তাজ কোং-১৪১০;বাংলা)
*৪০. রাষ্ট্র ও খিলাফত,পৃঃ ২০৬ (মোহাঃ আলাউদ্দিন খান)
*৪১. হযরত আলী,পৃঃ ৫৬ (এমদাদিয়া)

✊মহানবী ﷺ সাহাবাদের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, “এখানে উপস্থিত লোকদের উচিত অনুপস্থিত’ দের কাছে আঁমার এই বাণী (কিতাবুল্লাহর বিধান ও আহলে বাইত-এর সীরাত ও রেওয়ায়েত) পৌঁছিয়ে দেয়া,কেননা যাঁদের কাছে পৌঁছানো হবে, তাদের মধ্যে অনেক ব্যক্তি এমন আছে যে, শ্রবণকারীর চাইতে সংরক্ষণের দিক থেকে অধিকযোগ্য।আর তোমরা যেন আমার পরে কাফের হয়ে যেও না।” অর্থাৎ কুফরী আচরণে তৎপর হয়ো না।
            ******দলিল******
*(ক.) সহীহুল বুখারীঃ ২য় খন্ড, হা/১৭৩৯- ১৭৪১; (তাওহীদ পাবলিকেশন্স)
*(খ.) সহীহ্ আল বুখারীঃ ২য় খন্ড,হা/১৬১৯-১৬২১ (আধুনিক,১৯৯৮ইং]
*(গ.) সহীহ্ বোখারীঃ ৩য় খন্ড, হা/১৬৩০- ১৬৩২,(ইঃফাঃ ২০০৩ইং)
*(ঘ.) সহীহ বোখারী শরীফঃ পৃঃ ২৭৭,হা/১৬১৯-১৬২১ (সকল খণ্ড একত্রে,তাজ কোং-২০০৯ ইং]
⏬
মহানবী ﷺ নির্দেশ দিয়েছেন যে,“ আহলে বাইত-এঁর আগে যাওয়ার চেষ্টা করোনা তাহলে ধ্বংস হয়ে যাবে।তাদের থেকে সরে যেও না তাহলে দুঃখ কষ্ট তোমাদের চির সাথী হয়ে যাবে।তাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করোনা তাঁরা তোমাদের থেকে বেশি জ্ঞানী। ”
      *******দলিল*******
*(ক.) তাফসীরে দুররে মানসুরঃ ২য় খন্ড, পৃঃ ৬০
*(খ.) উসুদুল গাবাঃ ৩য় খন্ড,পৃঃ ১৩৭
*(গ.) সাওয়ায়েকুল মুহরেকাঃ পৃঃ ১৪৮
*(ঘ.) ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাতঃ পৃঃ ৩৫৫
*(ঙ.) কানযুল উম্মালঃ ১ম খন্ড,পৃঃ ১৬৮
*(চ.) হায়সামীঃ মাজমাউজ যাওয়ায়েদ , ৯ম খন্ড,পৃঃ ২১৭
*(ছ.) আবাকাতুল আনোয়ারঃ ১ম খন্ড, পৃঃ ১৮৪
*(জ.) আল-সিরাহ আল হালবিয়া,৩য় খন্ড,পৃঃ ২৭৩
*(ঝ.) আল তাবরানিঃ পৃঃ ৩৪২

✊আল্লামা সানাউল্লাহ পানিপথি স্বীয় তাফসীরে লিখেছেন [(মহানবী (ﷺ)] আহলে বাইত (আঃ)-এঁর কথা এজন্য তাগিদ করেছেন যে, “হেদায়েত এবং বেলায়েতের ব্যাপারে আহলে বাইতই পথপ্রদর্শক।তাঁদের উসিলা ব্যতিত কেউ আল্লাহর ওলীর মর্তবায় পৌঁছাতে পারবে না।আহলে বাইত (আঃ)-এঁর মধ্যে সর্বপ্রথম রয়েছেন-হযরত আলী (আঃ) অতঃপর তাঁর সন্তানদের মধ্যে হযরত হাসান আসকারী পর্যন্ত,এই সিলসিলা অব্যাহত থাক।”
★তথ্য সূত্রঃ তাফসীরে মাযহারীঃ ২য় খন্ড, পৃঃ ৩৯৩ (ইঃফাঃ)
★তাফসীরে নুরুল কোরআনঃ ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ৩৩;(মাওলানা আমিনুল ইসলাম)।

✌বিদায় হজ্বের ভাষণে“ মহানবী (ﷺ) আমাদেরকে কিতাবুল্লাহর বিধান ও আহলে বাইত-এর সীরাত ও রেওয়ায়েত অনুসরণ করতে হুকুম দিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সেই সময় মহানবী (ﷺ)-এঁর সঙ্গে প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার সাহাবার জামাত ছিল এবং মহানবী (ﷺ) সাহাবাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে,যদি কোরআন ও আহলে বাইত-এঁর একটিকেও ছাড় তবে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে, আর আমরা হলাম সাধারণ মানুষ আমরা যদি সেই দুটি বস্তুকে অনুসরণ না করি তবে পথভ্রষ্টতা থেকে রক্ষা পাবো কি?”

★আল কোরআনের ঘোষণাঃ-“ আঁমি যেসব স্পষ্ট নিদর্শন এবং হেদায়েত মানুষের জন্য নাযিল করেছি,কিতাবে তা বিস্তারিত (হক কথা) বর্ণনা করার পরও যারা তা গোপন করে তাদেরকে আল্লাহ্ অভিসম্পাত দেন এবং অন্যান্য অভিসম্পাতকারীরাও তাদেরকে অভিসম্পাত দেয়। ”
[সূরা-বাকারাঃ আয়াত নং ১৫৯]

★আরো এরশাদ হচ্ছে: “নিশ্চয় যারা গোপন করে সে সব বিষয় যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন (হক কথা) এবং বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করে,তারা আগুন ছাড়া নিজেদের পেটে আর কিছুই পুরতেছে না।কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না এবং তাদের পবিত্র করবেন না।আর তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি।এরাই হল সে সকল লোক যারা হেদায়াতের বিনিময়ে গোমরাহী এবং ক্ষমার পরিবর্তে আযাব খরিদ করেছে।হায়! কতই না ধৈর্যশীল তারা আগুনের উপর ” !
[সূরা-বাকারাঃ আয়াত নং ১৭৪-১৭৫]

আফসাস! সেই সব আলেমদের জন্য যারা জেনে-বুঝে (হক কথা) ইল্ম গোপন করে।

★ “আর তোমাদের মধ্যে এমন এক দল থাকা আবশ্যক যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহবান করবে এবং সৎ কাজের আদেশ করবে আর অসৎ কাজের নিষেধ করবে,এরাই হল সফলকাম।”
[সূরা-আলে-ইমরানঃ আয়াত নং ১০৪]

★ “আর তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়িয়ে ধর পরস্পর বিচ্ছিন্ন (ফেরকাবন্দী) হইও না। ”
[সূরা-আলে ইমরানঃ আয়াত নং ১০৩]

প্রসিদ্ধ হাদীসে মহানবী (ﷺ) বলেছেন,“ আঁমার উম্মতেরা আঁমার পর ৭৩ দলে বিভক্ত হয়ে পড়বে, এদের মধ্যে ১টি দল পরকালে মুক্তি পাবে,আর বাকি দলগুলো পথভ্রষ্ট বা তারা জাহান্নামী হবে । ”
           *****দলিল******
*(ক.) মুস্তাদরাকে হাকেমঃ ৩য় খন্ড,পৃঃ ১০৯
*(খ.) মুসনাদে হাম্বালঃ ৩য় খন্ড,পৃঃ ১৪
*(গ.) তিরমীজিঃ ৫ম খন্ড,হা/২৬৪২ (ইঃ ফাঃ)

✊“ মহানবী (ﷺ) এটাও বলে গেছেন- আঁমার উম্মতের একটি দল (মাযহাব) সর্বদাই হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
           ******দলিল******
*(ক.) সহীহ্ মুসলিমঃ ৫ম খন্ড,হা/৪৭৯৭, (ইঃফাঃ)
*(খ.) সহীহ তিরমীজি-(সকল খণ্ড একত্রে) পৃঃ ৬৯৩,হা/২১৯০, (তাজ কোং)
*(গ.) সহীহ্ বুখারী (সকল খণ্ড একত্রে) পৃঃ ১১১৩,হা/৬৮০৪,(তাজ কোং)।

✌মহানবী (ﷺ)-এঁর উম্মত হওয়ার পরও আমরা কেন জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবো? কারণ শুধু এটাই যে,মহানবী (ﷺ)-কে মুখে মানবো কিন্তু অন্তরে মানবো না।ধর্ম পালন করবো নিজের মনমতো,আল্লাহ ও রাসূল (ﷺ) যাদেরকে অনুসরণ করতে বলেছেন,আমরা তাদেরকে আমলেই নিচ্ছি না।যেহেতু সিরাতে মুস্তাকিমের” সত্যপথ আমরা কোনভাবেই অনুসরন করতেছিনা তাই আমরা কিভাবে জান্নাতের আশা করতে পারি??

সিরাতে মুস্তাকিম বলতে কাঁদের পথকে বুঝানো হয়েছে?

পবিত্র কোরআনে “সূরা ফাতিহাতে ” আমাদের“ সরল সঠিক পথে ও যাদের প্রতি আপনি নেয়ামত দান করেছেন তাদের পথে পরিচালিত করুন। ” বলতে কাদের পথকে বুঝানো হয়েছে ?

সালাবী তার তাফসীরে কাবীর গ্রন্থে (সূরা ফাতিহার তাফসীরে) ইবনে বুরাইদা হতে বর্ণনা করেছেন যে,“ সিরাতে মুস্তাকিম ” বলতে“ মুহাম্মদ (ﷺ) ও তাঁর ইতরাত,আহলে বাইতের পথকে বুঝানো হয়েছে ”। ওয়াকী ইবনে যাররাহ সুফিয়ান সাওরী সাদী আসবাত ও মুজাহিদ হতে এরা সকলেই ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন,আমাদের সরল সঠিক পথে হেদায়েত কর , অর্থাৎ“ মুহাম্মাদ (ﷺ) ও তাঁর আহলে বাইতের পথ। ”
         ******দলিল*******
*(ক.) ইয়া নাবিউল মুয়াদ্দাতঃ পৃঃ ১১১
*(খ.) আরজাহুল মাতালেবঃ পৃঃ ৫৪৪
*(গ.) বায়ানুস সায়াদাহঃ ১ম খন্ড,পৃঃ ৩৩
*(ঘ.) তাফসীর আলী বিন ইবরাহীমঃ ১ম খন্ড,পৃঃ ২৮
*(ঙ.) সাওয়াহেদুত তানযিলঃ ১ম খন্ড,পৃঃ ৫৭
*(চ.) তাফসীরুল বুরহানঃ ১ম খন্ড,পৃঃ ৫২
*(ছ.) মানাকেবে ইবনে শাহরে আশুবঃ ১ম খন্ড,পৃঃ ১৫৬
*(জ.) আল মোরাজয়াতঃ পৃঃ ৫৫
*(ঝ.) মাজমাউল বায়ানঃ ১ম খন্ড,পৃঃ ২৮
*(ঞ.) সাওয়ায়েকুল মোহরিকাঃ পৃঃ ১৬
*(ট.) কিফায়াতুল মোওয়াহহেদীনঃ ১ম খন্ড,পৃঃ ১৯২
*(ঠ.) রওয়ানে জাভেদঃ ১ম খন্ড,পৃঃ ১০
*(ড.) তাফসীরে নূরুস সাকালাইনঃ ১ম খন্ড,পৃঃ ২০-২১
*(ঢ.) তাফসীরে নমূনাঃ ১ম খন্ড,পৃঃ ৭৫
*(ণ.) তাফসীরে ফুরাতঃ ১ম খন্ড,পৃঃ ১০।

আহলে বাইত (عليه السلام)-এঁর ভালবাসা ফরয-২য় পর্ব

★৬. রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন-

أُذَكِّرُكُمُ اللهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي، أُذَكِّرُكُمُ اللهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي، أُذَكِّرُكُمُ اللهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي

“আঁমি তোমাদেরকে আহলে বায়ত সম্পর্কে আল্লাহর হক্বের (তাঁদেরকে ভালোবাসা,হিফাযত করা,সম্মান করা) ব্যাপারে সতর্ক করছি,‘আঁমি তোমাদেরকে আহলে বায়ত সম্পর্কে আল্লাহর হক্বের ব্যাপারে সতর্ক করছি,‘আঁমি তোমাদেরকে আহলে বায়ত সম্পর্কে আল্লাহর হক্বের ব্যাপারে সতর্ক করছি।”
        ********দলিল*********
*(ক.) ইমাম মুসলিম,আস-সহিহ,(বৈরুতঃ দারুল জিয়াল),৭ম খন্ড,পৃ.১২২
*(খ.) ইমাম আহমদ,আল-মুসনাদ (বৈরুতঃ মুয়াসসাসাতুর রিসালাহ,১ম সংস্করণ,১৪২১ হি.),৩২ম খন্ড,পৃ. ১২।

★৭. হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে।

أخرج ابن النجار في تاريخه عن الحسن بن علی رضی الله عنهما قال: قال رسول الله ﷺ لكل شيء أساس، وأساس الإسلام حب أصحاب رسول اللهﷺ وحب أهل بيته؛

ইবনে নাজ্জার তার ‘তারীখ’-এ হযরত হাসান ইবনে আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “প্রত্যেক কিছুর একটি মূল আছে।আর ইসলামের মূল হচ্ছে,রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এঁর সাহাবাদের এবং তার পরিবারবর্গ (আহলে বাইত)’কে ভালবাসা”।
[‘আদ-দুররুল মনসুর জালালুদ্দীন সুয়ুতী, ৬:৭]

★আহলে বাইতে রাসূলের মহব্বতকে জুড়ে দিয়েছেন।হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলে মকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ ফরমান- ‘তোমরা আঁমার আহলে বাইতকে ভালবাসো আঁমার ভালবাসার কারণে’।
[মুস্তাদরাকে হাকেম-৩/১৬২].

★৮. ইমাম তিরমিজী (তিনি হাদীছটিকে হাসান বলেছেন) ও ইমাম তাবরানী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন,তিনি বলেন,

أخرج الترمذي وحسنه، والطبراني عن ابن عباس رضی الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: أحبوا الله لما يغذوكم به من نعمه، وأحبونی لحب الله، وأحبوا أهل بیتی لحبی۔
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তা’আলা তাঁর নেয়ামতরাজি দ্বারা তােমাদেরকে যেভাবে পানাহার করান তার জন্য তাঁকে ভালবাস।আর আল্লাহর ভালবাসা পেতে আঁমাকে ভালবাস,আর আঁমার ভালবাসা পেতে আঁমার পরিবার-পরিজনকে ভালবাস।
               ******দলিল******
*(ক.) তিরমীজিঃ ৫:৬৩৩ (৩৭৮৯), আর তিনি বলেছেন,হাদীসটি হাসান গরীব।★
*(খ.) আল মুজামুল কবীর-ইমাম তাবরানীঃ ৩:৪৬ (২৬৩৮)।
*(গ.) আল মুস্তাদরিক-ইমাম হাকেমঃ
৩: ১৬২ (৪৭১৬),আর তিনি বলেছেন, হাদীসটি সনদের দিক দিয়ে সহীহ,তবে তারা হাদীসটি বর্ণনা করেননি।★
*(ঘ.) অনুরূপ বলেছেন,ইমাম যাহাবী এবং ইমাম বায়হাকী তার শুয়াবুল ঈমানে (২:১৩০/১৩৭৮)।★

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত,হযরত রাসুল ﷺ বলেছেন,”তোমরা আল্লাহ্কে ভালোবাস কেননা মহান আল্লাহ তাঁর নেয়ামত হতে তোমাদিগকে রিজিক প্রদান করেছেন। আল্লাহর ভালোবাসা পেতে হলে আঁমাকে ভালোবাস (রাসুলকে) আর আঁমার ভালোবাসা পেতে হলে আঁমার আহলে বাইতকে (আনুগাত্যপুর্ন) ভালোবাস।”

            ******দলিল******
*(ক.) সহীহ তিরমিজি,৬ষ্ঠ খন্ড,হা/৩৭২৮ ইসঃ সেন্টার।
*(খ.) সহীহ তিরমিজি (সকল খণ্ড একত্রে) পৃঃ ১০৮৫,হাদিস-৩৭৫১ (তাজ কোং)
*(গ.) মেশকাত শরীফ,১১ম খন্ড,পৃঃ ১৮৮, হাদিস-৫৯২২ (এমদাদিয়া লাইব্রেরি)

★৯. হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে

أخرج الديلمي عن علي رضي الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ أثبتكم على الصراط، أشدكم حبا لأهل بیتی وأصحابی؛

ইমাম দায়লামী হযরত আলী (رضي الله عنه) এর সূত্রে বর্ণনা করেন,তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “তােমাদের মধ্যে সিরাতের ওপর ঐ ব্যক্তিই সবচেয়ে বেশি অটল থাকবে,যে আঁমার বংশধরগণ ও আঁমার সাহাবাগণকে বেশি বেশি ভালবাসবে”।
             *****দলিল******
*(ক.) আল কামেল,ইবনু আদী,৬:২৩০৪।
*(খ.) কানযুল উম্মাল, আল মুত্তাফিউল হিন্দ, ১২:৯৬ (৩৪১৫৭)।

✊সিরাত হচ্ছে জাহান্নামের ওপরে স্থাপিত একটি চুলের চেয়ে সুক্ষ্ম, তরবারীর চেয়ে ধারালাে,অসংখ্য কাটাযুক্ত,অন্ধকার ও বিকট শব্দপূর্ণ দীর্ঘ সেতু বা পুল।

★১০. রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন-

أحبوا الله لما يغذوكم من نعمه فأحبوني لحب الله وأحبوا أهل بيتي لحبي

“আল্লাহ তোমাদেরকে নিয়ামত দেয়ার কারণে তোমরা তাঁকে ভালোবাস এবং তাঁর ভালোবাসা পাবার জন্য আঁমাকে ভালোবাস আর আঁমার ভালোবাসা পাবার জন্য আঁমার আহলে বায়তকে ভালোবাস।”
[ইমাম তিরমিযি,আস-সুনান(বৈরুতঃ দারুল গারবিল ইসলামি,১৯৯৮ইং),৬ষ্ট খন্ড,পৃ. ১৩৪]

★১১. রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন-

وأساس الإسلام حبي وحب أهل بيتي “

ইসলামের মূল ভিত্তি হলো আঁমার প্রতি ভালোবাসা আর আঁমার আহলে বায়তের প্রতি ভালোবাসা।”
[আলি মুত্তাকি,প্রাগুক্ত,খ.১২,পৃ.১০৫]

★১২. হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে।

أخرج الطبراني في الأوسط عن عبد الله بن جعفر رضي الله عنهما قال سمعت رسول اللهﷺ يقول: يابنی هاشم، إني قد  سألت الله أن يجعلكم نجداء رحماء. وسألته أن يهدي ضالكم، ويؤمن خائفكم، ويشبع جائعكم. والذي نفسي بيده، لا يؤمن أحد حتى يحبكم بحبي. أترجون أن تدخلوا الجنة بشفاعتی، ولا يرجوها بنوعبد المطلب؟

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “আল্লাহর কসম! যার হাতে আঁমার প্রাণ, কোন ব্যক্তি ততক্ষণ ঈমানদার হবেনা, যতক্ষণ না সে তােঁমাদেরকে আঁমার কারণে ভাল বাসবে।”
[আল্ মু’জামুল আওসাতঃ ৮:৩৭৩ (৭৭৫৭)]

তাবরানী শরীফে আছে,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেন-কোন বান্দা পূর্ণ ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ আঁমাকে তার নিজের প্রাণের চেয়ে,আঁমার আওলাদকে নিজের আওলাদের চেয়ে,আঁমার আহলে বায়তকে নিজের আহল (পরিবার-পরিজন) থেকে এবং আঁমার সত্তাকে নিজের সত্তা থেকে অধিক ভালোবাসবে না।
[আশশারফুল মুয়ায়্য়দঃ পৃষ্ঠা-৮৯, খুতবাতে মুহররম পৃষ্ঠা-২৩৩]

★১৩. হযরত আবু বকর (রাঃ) বলেন, “মহানবী ﷺ-এঁর সন্তুষ্টি তাঁর আহলে বাইতের ভালবাসার মধ্যে নিহিত।”
      ******দলিল******
*(ক.) সহীহ্ বোখারী-৬ষ্ট খন্ড,হাঃ-৩৪৪৭, ৩৪৭৯, (ই.ফাঃ)
*(খ.) তাফসীরে ইবনে কাসির-১৬ম খন্ড, পৃঃ-৫২৬।(হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী, আহলে হাদীস)]
⏬
আহলে বাইতের মর্যাদা ও সম্মানের ব্যাপারে হযরত আবূ বকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, (যার হাতে আমার প্রাণ এ সত্তা, তাঁর কসম) আমার নিকট আমার আত্মীয়গণ অপেক্ষা নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর আত্মীয় ও বংশধরের ভালোবাসা অধিক প্রিয়।
[বুখারী শরীফ ও আশশারফুল মুআব্বদ : পৃষ্ঠা ৮৭]
⏬
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন, আলে রাসূলকে মহব্বত করা একশ বৎসর ইবাদতের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।
[আশশারফুল মুআব্বাদ: পৃষ্ঠা ৮৭]
⏬
ইবনে মাসউ’দ (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ্ (স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ “আহলে বাইতকে একদিন মুহাব্বাত করা এক বছর ইবাদত থেকে উত্তম”।
        ******দলিল******
*(ক.) ইয়ানাবীউ’ল মাওয়াদ্দাহ্, পৃষ্ঠা-২৪০,হাদীস নং ৬৪
*(খ.) আশরাফুল মুআব্বাদ লি আলি মুহাম্মাদ স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, পৃষ্ঠা-১১০
*(গ.) ইহ্ইয়াউল মাইতি বিফাদ্বাইলি আহলে বাইতি: পৃষ্ঠা-১

★১৪. হাদীস শরীফে আরও ইরশাদ হয়েছে

أخرج الديلمي عن علي رضي الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ أدبوا أولادكم على ثلاث خصال: حب نبيكم، وحب  أهل بيته، وعلى قرأة القرآن. فإن حملة القرآن في ظل الله يوم لا ظل إلا ظله، مع أنبيائه وأصفيائه؛

ইমাম দায়লামী হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন,তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,তোমার সন্তানদেরকে তিনটি বিষয়ে শিষ্টাচার শিক্ষা দাও।তা হচ্ছে,
১. তোমাদের নবীর (ﷺ) ভালবাসা,
২. তাঁর (ﷺ) পরিবারবর্গের (আহলে বাইত) ভালবাসা
৩. এবং কুরআন পড়ার শিক্ষা,কেননা কুরআন বহনকারী সেদিন (কেয়ামতের দিন) আল্লাহর (আরশের) ছায়ার নিচে তার নবীগণ এবং তার পবিত্র বান্দাদের সাথে থাকবে,যেদিন তার ছায়া (আরশের) ব্যতিত আর কোন ছায়া থাকবেনা”।
             *****দলিল******
*(ক.) কানযুল উম্মাল, আল মুত্তাক্বী আল হিন্দ ১৬:৪৫৬ (৪৫৪০৯)।
*(খ.) কাশফুল খাফা,আল আজলূনী, ১:৭৪ (১৭৪)।
⏬
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

أدبوا أولادكم على ثلاث خصال : حب نبيكم، وحب أهل بيته، وقراءة القرآن

“তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে তিনটি অভ্যাসের ব্যাপারে শিষ্টাচার শিক্ষা দাও। প্রথমত: তোমাদের নবির প্রতি ভালোবাসা।
দ্বিতীয়ত: আহলে বায়তে রাসূলের প্রতি ভালোবাস।
তৃতীয়ত: কুরআন তিলাওয়াত।”
           *****দলিল******
*(ক.) ইমাম সুয়ূতি,আল-জামিউল কবির,হাদিস নং ৯২৪
*(খ.) আল্লামা আলি মুত্তাকি হিন্দি, কানযুল উম্মাল,(বৈরুতঃ মুয়াস্সাসাতুর রিসলাহ,১৯৮৯ ইং),১৬ম খন্ড,পৃ. ৬২৩। *(গ.) আল্লামা আজালুনি,কাশফুল খাফা,(বৈরুতঃ দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরবি), ১ম খন্ড,পৃ.৭৪]

✊উল্লিখিত হাদিস-সমূহের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে,আহলে বায়তের প্রতি ভালোবাসা ইসলামের মৌলিক বিষয়,যা পালন করা প্রত্যেক মুমিনের ঈমানি দায়িত্ব।আর অস্বীকার করলে ঈমান থাকবে না।

আহলে বাইত (عليه السلام)-এঁর ভালবাসা ফরয-৩য় পর্ব

★১৫. হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে

أخرج الطبراني في الأوسط عن الحسن بن علی رضي الله عنهما أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: الزموا مودتنا أهل البيت، فإنه من  القى الله وهو يودنا، دخل الجنة بشفاعتنا. والذي نفسي بيده، لا ينفع عبدا عمل عمله، إلا بمعرفته حقنا؛
ইমাম তাবরানী ‘আল আওসাত’ এ হযরত হাসান ইবনে আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন যে,রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,আঁমার আহলে বাইত বা পরিবারবর্গের সাথে ভালবাসাকে আবশ্যক করে নাও।কেননা,যে ব্যক্তিই আল্লাহর সাথে এ অবস্থায় সাক্ষাত করবে যে,সে আঁমাদেরকে ভালবাসে,সে আঁমাদের শাফায়াত বা সুপারিশের দ্বারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।আল্লাহর কসম! যার হাতে আঁমার প্রাণ,কোন বান্দার আমল ততক্ষন কাজে আসবে না,যতক্ষন না সে আঁমাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে (রক্ষা করবে)।
         *****দলিল******
*(ক.) আর মু’জামুল আওসাত, ৩:২২ (২২৫১)।
*(খ.) কাজী আয়াজ (রাহমাতুল্লাহি তা’আলা আলাইহি) তাঁর শেফা-(৩:৪৮) কিতাবে বলেছেন,কোন কোন আলেম বলেন, معرفتهم অর্থ হচ্ছে নবী করীম (ﷺ) এঁর মর্যাদা সম্পর্কে জানা।আর যখন তারা (উম্মত) এ সম্পর্কে জানবে তখন তারা তার [নবী করীম (ﷺ)] কারণে তাদের (আহলে বাইতে) অধিকার ও সম্মান সম্পর্কে জানবে।

★১৬. হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে

أخرج الطبراني عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: قال رسول اللهﷺ لا تزول قدما عبد حتى يسأل عن أربع: عن عمره  فيما أفناه، وعن جسده فيما أبلاه، وعن ماله فيما أنفقه ومن أين اكتسبه وعن محبتنا أهل البيت؛

ইমাম ত্বাবরানী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)’র সূত্রে বর্ণনা করেন,তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,কোন বান্দাহ ততক্ষণ অগ্রসর হতে পারবেনা,যতক্ষণ না তাকে চারটি প্রশ্ন করা হবে।(তা হচ্ছে)
*১. তার বয়সের ব্যাপারে যে,সে তা কীভাবে ব্যয় করেছে।
*২. তার শরীরের ব্যাপারে যে,তা সে কীভাবে ক্ষয় করেছে।
*৩. তার সম্পদের ব্যাপারে যে,সে তা কীভাবে খরচ করেছে এবং কোথায় হতে আয় করেছে।
*৪. এবং আঁমার পরিবারবর্গের (আহলে বাইত) ভালবাসার ব্যাপারে।
             *****দলিল******
*(ক.) আল মু’জামুল কাবীর: ১১:৮৩ (১১১৭৭)।
*(খ.) আল মু’জামুল আওসাত: ১০:১৮৫ (৯৪০২)।
*(গ.) মাজমাউয যাওয়ায়েদ,হাইছামী ১০:৩৪৬।হযরত আবু বরযা’র বর্ণনায় অনুরূপ রয়েছে।

★১৭. রাসুল ﷺ ইরশাদ মুবারক করেন-

الا من مات على حب ال (سيدنا حضرت) محمد صلى الله عليه وسلم مات تائبا

অর্থ: “যে ব্যক্তি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঁনার বংশধরগণ উঁনাদের মুহব্বত মুবারকে ইন্তিকাল করবে,সে ব্যক্তি তওবাকারীরূপে ইন্তিকাল করবে।”
         ******দলিল******
*(ক.) তাফসীরে কবীর-৭/৩৯০
*(খ.) তাফসীরে কাশশাফ
*(গ.) তাফসীরে রুহুল বয়ান-৩/৫৩৪
*(ঘ.) নুজহাতুল মাজালিস-২/২২২

☝এমনকি দুনিয়ার শেষ পরীক্ষা অর্থাৎ মৃত্যুর পরীক্ষায় ও আউলাদে রাসূলের নেগাহে করমে ও দোয়ার বরকতে সফলতা লাভ করা যাবে,যা আল্লাহ রাসূলের একাধিক হাদীসে পাক দ্বারা সুস্পষ্ট।রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,যে ব্যক্তি নবী বংশের ভালোবাসায় ইন্তেকাল করলো,সে যেন ক্ষমাপ্রাপ্ত অবস্থায় ইন্তেকাল করল এবং আর যে ব্যক্তি নবী বংশের ভালোবাসা নিয়ে ইন্তেকাল করলো সে যেন তাওবাকারী রূপে ইন্তেকাল করল।এবং যে নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এঁর বংশধরদের ভালোবাসার উপর ইন্তেকাল করলো,সে যেন মু’মিন হিসেবে ইন্তেকাল করলো।[খোতবাতে মুহাররম: ১৪১]

★১৮. “আল্লামা যামাখশারী ও আল্লামা ফাখরে রাজী প্রখ্যাত দুজন তাফসীরকারক” ও বিজ্ঞ আলেম,তারা তাদের সুবিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থদ্বয় “আল কাশশাফ ও আল কাবীর” তাফসিরদ্বয়ে এভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন যখন উক্ত আয়াত নাযিল হলো (সূরা-শুরা-আয়াত- ২৩) তখন রাসূল (صلى الله عليه و آله و سلم) বলেন:-
(১)* যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের ভালবাসা নিয়ে ইহজগৎ ত্যাগ করে,সে শহিদী মর্যাদা পায়।
(২)* যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের ভালবাসা নিয়ে ইহজগৎ ত্যাগ করে,সে নাজাত প্রাপ্ত হয় ইহজগৎ ত্যাগ করে।
(৩)* যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের ভালবাসা নিয়ে ইহজগৎ ত্যাগ করে, সে তওবাকারী হিসাবে ইহজগৎ ত্যাগ করে।
(৪)* যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের ভালবাসা নিয়ে ইহজগৎ ত্যাগ করে,সে পূর্ণ ঈমানের সঙ্গে ইহজগৎ ত্যাগ করে।
(৫)* যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের ভালবাসা নিয়ে ইহজগৎ ত্যাগ করে, তাকে মালোকুল মউত,মুনকীর ও নকীর ফেরেশতারা সুসংবাদ দেয়।
(৬)* যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের ভালবাসা নিয়ে ইহজগৎ ত্যাগ করে,তাকে এমন ভাবে বেহেশতে নিয়ে যাওয়া হবে যেমন বিবাহের দিন কন্যা তার শ্বশুরালয়ে যায়।
(৭)* যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের ভালবাসা নিয়ে ইহজগৎ ত্যাগ করে,তার কবরে জান্নাত মুখী দু‘টি দরজা খুলে দেয়া হবে।
(৮)* যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের ভালবাসা নিয়ে ইহজগৎ ত্যাগ করে,আল্লাহ তার কবরকে রহমতের ফেরেশতাদের জিয়ারতের স্থানের মর্যাদা দেন।
(৯)* যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের ভালবাসা নিয়ে ইহজগৎ ত্যাগ করে,সে নবীর সুন্নত ও খাঁটি-মুসলমানদের দলভুক্ত হয়ে ইহজগৎ ত্যাগ করলো।
(*) সাবধান যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের শত্রুতা নিয়ে মৃত্যুবরণ করে,কিয়ামতের দিনে তার কপালে লেখা থাকবে সে আল্লাহ পাকের রহমত হতে বঞ্চিত।
(*) যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের শত্রুতা নিয়ে মৃত্যুবরণ করে,সে কাফের হয়ে মারা যায়।
(*) যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের শত্রুতা নিয়ে মৃত্যুবরণ করে, সে বেহেশতের সুগন্ধও পাবে না।
⏬⏬
*১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
من مات على حب آل محمد مات شهيدا “

যে ব্যক্তি আহলে বায়তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র ভালোবাসা নিয়ে মৃত্যু বরণ করবে,সে শহিদের মর্যদাপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করবে।”

*২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

ومن مات على حب آل محمد مات مغفورا له 

যে ব্যক্তি আহলে বায়তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র ভালোবাসা নিয়ে মৃত্যু বরণ করবে,সে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করবে।”

*৩. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
ومن مات على حب آل محمد مات تائبا “

যে ব্যক্তি আহলে বায়তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র ভালোবাসা নিয়ে মৃত্যু বরণ করবে,সে মৃত্যুর পূর্বে তাওবা করে মৃত্যু বরণ করবে।”

*৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
ومن مات على حب آل محمد مات مؤمنا مستكمل الإيمان “

যে ব্যক্তি আহলে বায়তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র ভালোবাসা নিয়ে মৃত্যু বরণ করবে,সে পরিপূর্ণ ঈমানদার অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে।”

*৫. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

من مات على حب آل محمد بشره ملك الموت بالجنة ثم منكر ونكير“

যে ব্যক্তি আহলে বায়তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র ভালোবাসা নিয়ে মৃত্যু বরণ করবে,তাকে হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালামসহ মুনকার ও নকীর ফিরিস্তাদ্বয় জান্নাতের সুসংবাদ দিবেন।”

*৬. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

ومن مات على حب آل محمد فتح الله له في قبره بابين إلى الجنة “

যে ব্যক্তি আহলে বায়তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’র ভালোবাসা নিয়ে মৃত্যু বরণ করবে, আল্লাহ তার কবরের দিকে জান্নাতের দুটি দরজা খুলে দিবেন।”

*৭. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

من مات على حب آل محمد يزف إلى الجنة كما تزف العروس إلى بيت زوجها“

যে ব্যক্তি আহলে বায়তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়াসাল্লাম’র ভালোবাসা নিয়ে মৃত্যু বরণ করবে,সে জান্নাতে সেভাবে বাসর করবে,যেভাবে নববধূ স্বামীর ঘরে বাসর করে।”

*৮. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

ومن مات على حب آل محمد جعل الله قبره مزار ملائكة الرحمة “

যে ব্যক্তি আহলে বায়তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র ভালোবাসা নিয়ে মৃত্যু বরণ করবে, আল্লাহ তার সমাধিকে রহমতের ফিরিস্তাদের জন্যে যিয়ারতস্থলে পরিণত করবেন।”
           *****দলিল******
*১. আবু ইসহাক আহমদ ছা’লাবি, আল-কাশফু ওয়াল বায়ান(তাফসিরে ছা’লাবি),(বৈরুত: দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি,১ম সংস্করণ,১৪২২হি.,৮ম খন্ড,পৃ.৩১৪
*২. ইমাম কুরতুবি,আল-জা’মি লিআহকামিল কুরআন,(কায়রোঃ দারুল কুতুবিল মিসরিয়্যাহ,২য় সংস্করণ,১৩৮৪ হি.),১৬ম খন্ড,পৃ. ২৩
*৩. ইমাম রাজি.প্রাগুক্ত,২৭ম খন্ড,পৃ.৫৯৫
*৪. ইমাম সা’লাবি,আল-কাশফ ওয়াল বয়ান আন তাফসিরিল কুরআন,(বৈরুতঃ দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরবি,১ম সংস্করণ,১৪২২ হি.),৮ম খন্ড,পৃ.৩১৪
*৫. আল্লামা যামাখশারি,আল-কাশশাফ,(বৈরুতঃ দারুল কিতাবিল আরবি,৩য় সংস্করণ,১৪০৭ হি.),৪র্থ খন্ড,পৃ. ২২০
*৬. আল্লামা ইবন আজিবা আল-হাসানি আশ-শাজলি,আল-বাহরুল মুদিদ (বৈরুতঃ দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ,২য় সংস্করণ,২০০২ ইং),৬ষ্ট খন্ড,পৃ.৫৫৮
*৭. আল্লামা ইসমাইল হক্বি,রুহুল বয়ান,(বৈরুতঃ দারুল ফিকর),৮ম খন্ড,পৃ.৩১২)

✊উল্লেখিত হাদিস শরিফ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আহলে বায়তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র ভালোবাসা দুনিয়া আখিরাতের অমূল্য সম্পদ।আর যারা আহলে বাইতের সাথে দুশমনি করবে তারা দুনিয়া ও আখিরাতে লাঞ্চিত হবে,হচ্ছে।আর তারা ঈমানের লেশমাত্র অনুভব করবে না।

★১৯. আহলে বায়তের প্রতি বিদ্বেষের পরিণতি:

★আহলে বায়তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভালোবাসার মধ্যে যেমন শুভ পরিণতি রয়েছে,তেমনিভাবে তাঁদের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষের পরিণতিও ভয়াবহ।এই ব্যাপারে-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

ومن مات على بغض آل محمد جاء يوم القيامة مكتوبا بين عينيه أيس اليوم من رحمة الله “

যে ব্যক্তি আহলে বায়তের প্রতি বিদ্বেষ নিয়ে মৃত্যু বরণ করবে,সে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উপস্থিত হবে যে,তার কপালে লিখা থাকবে ‘এ ব্যক্তি আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত।”
[ইমাম কুরতুবি,প্রা;ইমাম রাজি.প্রাগুক্ত; ইমাম সা’লাবি প্রাগুক্ত;আল্লামা যামাখশারি;আল্লামা ইবন আজিবা আল-হাসানি আশ-শাজলি;আল্লামা ইসমাইল হক্বি, প্রাগুক্ত।)

★তিনি আরো ইরশাদ করেছেন-

ومن مات على بغض آل بيتي فلا نصيب له في شفاعتي “

যে ব্যক্তি আহলে বায়তের প্রতি বিদ্বেষ নিয়ে মৃত্যু বরণ করবে,সে আমার সুপারিশ পাবে না।(প্রাগুক্ত)

★তিনি আরো ইরশাদ করেছেন-

ألا ومن مات على بغض آل محمد لم يشم رائحة الجنة ‘

সাবধান! -যে ব্যক্তি আহলে বায়তের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ নিয়ে মৃত্যু বরণ করবে,সে জান্নাত তো নয়;বরং জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।”(প্রাগুক্ত)

★তিনি আরও এরশাদ করেন,

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” يَا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، إِنِّي سَأَلْتُ اللَّهَ لَكُمْ ثَلَاثًا: أَنْ يُثَبِّتُ قَائِمَكُمْ، وَأَنْ يَهْدِيَ ضَالَّكُمْ، وَأَنْ يُعَلِّمَ جَاهِلَكُمْ، وَسَأَلْتُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَكُمْ جُوَدَاءَ نُجَدَاءَ رُحَمَاءَ، فَلَوْ أَنَّ رَجُلًا صَفَنَ بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْمَقَامِ فَصَلَّى، وَصَامَ ثُمَّ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ مُبْغِضٌ لِأَهْلِ بَيْتِ مُحَمَّدٍ دَخَلَ النَّارَ

“হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-হে আব্দুল মুত্তালিবের সন্তানরা,আমি আল্লাহ তায়ালার নিকট তোমাদের জন্যে তিনটি বিষয় চেয়েছি-
(১) তিনি যাতে তোমাদেরকে হক্বের উপর অটল রাখেন।
(২) তোমাদের পথভ্রষ্ট ব্যক্তিদেরকে পথ প্রদর্শন করেন।
(৩) এবং তোমাদের অজ্ঞ ব্যক্তিদেরকে জ্ঞানী করেন।আর আমি আল্লাহ তায়ালার নিকট আরো চেয়েছি যে,যাতে তিনি তোমাদেরকে দানশীল,সাহসী এবং দয়ালু করেন।যদি কোন ব্যক্তি (কাবা শরিফের) রুকনে ইয়ামিন ও মাকামে ইব্রাহিম এর মাঝখানে নামায পড়ে ও রোযা রাখে এবং আলে রায়তে রাসুলের প্রতি বিদ্বেষপোষণ করে মৃত্যু বরণ করে, তাহলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।”
[ইমাম হাকিম, আল মুস্তাদরাক আলাস্ সহিহাইন,দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ্, বৈরুত,১ম সংস্করণ,১৪১১হি. ৩য় খন্ড,পৃ.১৬১,হা/নং ৪৭১২]

★★সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه و آله و سلم) আপনার “আ’ল” আহলে বাইত, কারা? “নবীজি (صلى الله عليه و آله و سلم) বললেন,আলী,ফাতেমা,হাসান ও হোসেইন,তিনি আরো বলেন,আল্লাহর কসম যার হস্তে আঁমার জীবন,যে ব্যক্তি আঁমার আহলে বাইতকে শত্রু মনে করবে,সে জাহান্নামী।”
          *****দলিল******
*(ক.) তাফসীরে কাবির,২৭ম খন্ড,পৃঃ ১৬৫, (মিশর)
*(খ.) তাফসীরে আল কাশশাফ ওয়াল বায়ান,৩য় খন্ড,পৃঃ ৬৭,(মিশর)
*(গ.) তাফসীরে কুরতুবি,১৬ম খন্ড,পৃঃ ২২,(মিশর)
*(ঘ.) এহইয়াউল মাইয়াত,পৃঃ ৬
*(ঙ.) আরজাহুল মাতালেব,পৃঃ ৪১৮
*(চ.) সাওয়ায়েক মোহরিরকা,পৃঃ ১০৪
*(ছ.) ইয়া নাবিউল মুয়াদ্দাত,পৃঃ ৫৫,৫৯৯

★২০. ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন,আঁমি আহলে বাইতে রাসূলকে এতবেশি ভালোবাসতাম যে, লোকেরা আঁমাকে রাফেযী বলা শুরু করল।আঁমি তাদের জবাবে বললাম,আলে রাসূলের প্রতি ভালোবাসার নাম যদি রাফেযী হয়, তাহলে হে জ্বিন জাতি ও মানবজাতি ও বিশ্ববাসী সাক্ষী হয়ে থাক,এই অর্থে আঁমি রাফেযী।এরপর আহলে বাইতের মহব্বতে তিঁনি আরো বলেন,হে নবীজীর বংশধরগণ,আঁপনাদের মহব্বত করা আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরয।আর এই হুকুম মহান আল্লাহর পবিত্র ক্বোরআনে নাযিল করেছেন।তদ্রুপ তাঁদের সাথে যারা শত্র“তা পোষণ করবে তারা মূলত আল্লাহ্ ও রাসূলের সাথে শত্র“তা পোষণ করে। যেমন ইরশাদ হচ্ছে-
اشتد غضب الله على من اذانى فى عترتى

অর্থাৎ আল্লাহর ক্রোধ অতীব কঠোর ও কঠিন হবে যারা আঁমার বংশধরকে কষ্ট দিয়েছে।মহানবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন যে আঁমার বংশধরের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে,সে আঁমার সাথেই বিদ্বেষভাব পোষণ করল।নবীজী আরো বলেন,

حسين منى وانا من حسين احب الله من احب حسينا

অর্থাৎ হোসাইন আঁমার থেকে আঁমি হোসাইন থেকে,যে হোসাইনকে ভালোবাসে তাকে মহান আল্লাহ্ ভালোবাসেন।
[তিরমিযি শরীফ,২য় খণ্ড,পৃষ্ঠা ২৮২]

★আহলে বায়তের কেউ আমল না করলেও তাঁদেরকে তা’জীম করা কর্তব্য। হিন্দুস্থানের মুফতিয়ে আজম আল্লামা মোস্তাফা রেজা খান রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেছেন-সৈয়্যদ থেকে যতক্ষন পর্যন্ত কুফর প্রকাশ না পায় তাঁকে তা’জীম ও সম্মান করা মানুষের উপর ওয়াজিব।কেননা তাঁকে ক্ষমা করা হবে এবং আল্লাহ্‌ তাঁর গুনাহ্ মাফ করে দেবেন-যদিও মৃত্যুরপূর্বে তিনি তাওবা করেন।কেননা আল্লাহ্‌ তা’আলা তাদের শানে বলেছেন-

انم يريد الله ليذهب عنكم الر جس اهل البيت ويتطهرا

নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেন-হযরত ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা নিজের পুত পবিত্রতা রক্ষা করেছেন।ফলে আল্লাহ্‌ তাঁকে এবং তাঁর আওলাদকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিয়েছেন।
[আশশরাফুল মুয়ায়্য়দ,পৃষ্ঠা-৪৫]

★হযরত আল্লামা কাযী সানা উল্লাহ পানীপতি রাহমাতুল্লাহ আলাইহির উস্তাদ মির্যা মাযহার জানে জাঁনা রাহমাতুল্লাহে আলাইহি বলতেন-আহলে বায়তের প্রতি ভালবাসা ঈমানের ভিত্তি।ঐ মহাত্বাগণের ভালবাসা ব্যতিত আমার কোন আমলই নাজাতের উসিলা নয়।

★তিনি আহলুল বায়তের প্রতি মুহাব্বতের কারনে সৈয়দজাদাদের প্রতিও অগাধ সম্মান প্রদর্শন করতেন।এমনকি পাঠদানের সময় যদি আশ-পাশে আওলাদে রাসুলের কোন ছোট শিশুকে খেলাধুলা করতে দেখতেন সাথে সাথে তিনি দাড়িয়ে তাদেরকে সম্মান করতেন এবং যতক্ষন তাঁকে দেখা যেত ততক্ষন দাড়িয়ে থাকতেন।
[আখবারূর আখতার পৃষ্ঠা-২৪১]

[মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে আহলে বাইতকে ভালোবাসার তাওফিক দান করুন।আর আমরা সবাই যেন আহলে বাইতের অনুসরণ ও মোহাব্বত নিয়ে কবরে যেতে পারি।আমিন।]

     ★ধারাবাহিক পর্ব সংখ্যা ৭৪টি★

ইন-শা-আল্লাহ আলোচনা চলবে
H.M.Abu Sufean Chowry CTG

0 Response to "আহলে বাইত (عليه السلام)-এঁর ভালবাসা ফরয"

Banner 300*250

Banner 160*600

advertising articles 2

Banner 728*90