বিশ্বের যে ১৪ টি দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাংকিপক্স
সম্প্রতি সময়ে করোনাভাইরাসের পর বিশ্বব্যাপী নতুন আতঙ্কের নাম মাংকিপক্স। আশঙ্কাজনকহারে ছড়াচ্ছে বিরল এই রোগ। মাঙ্কিপক্স শনাক্তের তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে ইসরায়েল ও সুইজারল্যান্ডের নাম। দুটি দেশই নিজেদের দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্তের তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৪টি দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।মাংকিপক্স
আজ রোববার (২২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও সুইজারল্যান্ড দুটি দেশই জানিয়েছে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত ব্যক্তি সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণ করেছিলেন। এদিকে বিশ্বজুড়ে আরও মাঙ্কিপক্স শনাক্তের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইডেন, স্পেন, পর্তুগাল, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইসরায়েল ও সুইজারল্যান্ডে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।
মূলত এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে মাংকিপক্স নামে এক ধরনের ভাইরাসের মাধ্যমে। বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এটি অনেকটা জল বসন্তের ভাইরাসের মতো। তবে এর ক্ষতিকারক প্রভাব কম, এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সংক্রমণের হারও কম। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার নিরক্ষীয় বনাঞ্চলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। মাংকিপক্স দু’ধরনের হয়ে থাকে – মধ্য আফ্রিকান এবং পশ্চিম আফ্রিকান। ব্রিটেনে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন যে দু’ব্যক্তি এরা সম্প্রতি নাইজেরিয়া সফর করেছেন। এরা সম্ভবত পশ্চিম আফ্রিকা ধরনের মাংকিপক্সে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তৃতীয় যে ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তিনি রোগীদের কাছ থেকে এই ভাইরাস পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ের জয়েন্ট এবং মাংসপেশিতে ব্যথা এবং দেহে অবসাদ। জ্বর শুরু হওয়ার পর দেহে গুটি দেখা দেয়। এসব গুটি শুরুতে দেখা দেয় মুখে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে হাত এবং পায়ের পাতাসহ দেহের সব জায়গায়। এই গুটির জন্য রোগী দেহে খুব চুলকানি হয়। পরে গুটি থেকে ক্ষত দেখা দেয়। গুটি বসন্তের মতোই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও দেহে এসব ক্ষত চিহ্ন রয়ে যায়। এছাড়া সংক্রমিত রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে, ত্বকের ক্ষত থেকে এবং নাক, মুখ ও চোখের ভেতর দিয়ে এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বানর, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, এমনকি মাংকিপক্সে আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত বিছানাপত্র থেকেও এই ভাইরাস অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশ মৃদু। এর বৈশিষ্ট্য জল বসন্তের মতোই, এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।
0 Response to "বিশ্বের যে ১৪ টি দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাংকিপক্স"
Post a Comment